এল নিনো: স্পেনীয় শব্দ ‘এল নিনো‘-র ইংরেজি অর্থ ‘Christ Child‘ এবং বাংলায় ‘শিশু খ্রিষ্ট‘। অনেকে আবার একে ‘Little boy‘ বা ‘ছোট্ট ছেলে‘ বলেন। সাধারণভাবে বলা যায়, ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বপ্রান্তে পেরু, ইকুয়েডরের পশ্চিম উপকূল দিয়ে কোনো কোনো বছর ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে, বিশেষত ক্রিসমাসের সময় উত্তরমুখী শীতল পেরু স্রোতের পরিবর্তে যে উষ্ণ বিপরীতমুখী বা দক্ষিণমুখী স্রোত প্রবাহিত হয়, তাকে ‘এল নিনো‘ বলে। এল নিনোর ফলে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা বেড়ে যায়। 

পৃথিবীব্যাপী এল নিনোর প্রভাব:
বন্যার সৃষ্টি: এর নিনোর প্রভাবে পেরু ও ইকুয়েডরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। যার ফলে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়। 

মরুভূমির আবহাওয়া বদল: চিলির আটাকামা মরুভূমিতে এল নিনোর প্রভাবে শুষ্ক আবহাওয়ার বদলে সেখানে আর্দ্র আবহাওয়া বিরাজ করে। 

দাবানলের সৃষ্টি: আমাজন নদী অববাহিকা, মধ্য আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায় শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে বলে দাবানলের সৃষ্টি হয়। 

খরার প্রাদুর্ভাব: এল নিনোর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সম্পর্ক রয়েছে বলে আবহবিদগণ মনে করেন। তাই যে বছরগুলিতে এল নিনো হয় সেই বছরগুলিতে ভারতে খরা দেখা দেয়। 

প্রবাল কীটের উপর প্রভাব: এল নিনোর প্রভাবে মধ্য ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলে অধিকাংশ প্রবাল কীটের মৃত্যু হয়।

By SUKANTA

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *